পেকুয়া প্রতিনিধি: পেকুয়ায় এক মসজিদের ভেতর পৃথকভাবে আদায় করা হয় নামাজ। মসজিদের ভেতর ও বারান্দায় পৃথকভাবে দুইজন ইমাম মুসল্লীদের জামায়াতেরসহিত নামাজ পড়াচ্ছেন। একজন ইমামের পেছনে সমাজের লোকজন, অপর একজনের পেছনে শুধুমাত্র হেফাজ মাদ্রাসার ছাত্র। একই মসজিদে পৃথক নামাজ পড়ানোকে কেন্দ্র করে গত ২/৩ বছর ধরে মসজিদ দাবীদার মৌলভী আবুল হোসেন ও সমাজপতি-মসজিদ পরিচালনা কমিটির মধ্যে বিরোধ চরম আকার ধারন করেছে। কয়েকদফা মারপিটও হয়। থানায় বৈঠকও হয়েছে একাধিকবার। কিন্তু কোন ধরনের সুরাহ দিতে পারেনি কেউ। উপজেলার সদর ইউনিয়নের মিঠাবেপারী পাড়া শাহী জামে মসজিদ নিয়ে দুইটি পক্ষের এ রশি টানাটানি। এদিকে ওই বিরোধে দুই ভাইকে পিটিয়ে জখম করা হয়েছে। তারা হলেন মিঠাবেপারীপাড়া এলাকার মৃত জাফর আহমদের ছেলে ফরিদুল আলম(৭৫) ও তার ছোট ভাই মো.রফিক(৬৮)। আহতদের স্থানীয়রা উদ্ধার করে পেকুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। বুধবার (১৪ মার্চ) ভোর সাড়ে ৪টার দিকে পেকুয়া উপজেলার সদর ইউনিয়নের মিঠাবেপারীপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। জানা যায়, ওই দিন মিঠাবেপারীপাড়া শাহী জামে মসজিদ ফজরের নামজ আদায় করে মুসল্লীরা। একই মসজিদে সাংঘর্ষিক করে তৈয়বিয়া ফয়জুল উলুম হেফজ খানার ছাত্রদের নিয়ে আরেকটি জামায়াত করে মৌলানা আবুল হোসেন। নামাজ শেষে মসজিদ পরিচালনা কমিটি ও মৌলানা আবুল হোসেন সাথে বাকবিতন্ডা হয়। এক পর্যায়ে ওই এলাকার মৃত ফয়েজ আহমদের ছেলে আবুল হোসেন তার ছেলে নোমান, ফোরকান,মিনহাজ ৭/৮ জন ধারালো অস্ত্র নিয়ে হামলা করে। হামলায় ওই দুই ভাই আহত হয়। প্রত্যক্ষদর্শী ও মুসল্লী সাবেক মেম্বার আক্তার, হারুন,জয়নাল, খলিল,গিয়াস উদ্দিন,ছরওয়ার, জহির, মোস্তাক, মহি উদ্দিন, কপিল,জাকের, জানান, আসলে আবুল হোসেন মসজিদ নিয়ে ব্যবসা শুরু করে দিয়েছে। সেই একজন সমাজচ্যুত লোক। একই মসজিদে দুইটি জামায়াত করে ঘটনাটা সেই সৃষ্টি করেছে। মসজিদ হল আল্লাহর ঘর। আমরা মসজিদ নিয়ে ব্যবসা করাকে মেনে নিব না। পেকুয়া থানার ওসি সাইফুর রহমান মজুমদার জানান, এই বিষয়ে লিখিত অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ পেলে তদন্তপূর্বক আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আবুল হোসেনের ছেলে ওমর ফারুক জানায়, নামাজ পড়াকে কেন্দ্র করে মারপিট হয়েছে। তারা আমার বাবা,ভাইসহ কয়েকজনকে পিটিয়ে জখম করেছে।

নাজিম উদ্দিন
পেকুয়া (কক্সবাজার) প্রতিনিধি
০১৮২০-০০৮৫১৫
১৪-০৪-২১